ঢাকার জনপ্রিয় আবাসিক এলাকা
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা একটি জনবহুল, ব্যস্ততা সম্পন্ন, জনসমাগম সম্পন্ন শহর। কর্মব্যস্ততার শহর ঢাকা। দক্ষিণ এশিয়ার স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর ঢাকা। ঢাকার আয়তন ১৪৬৩.৬০ বর্গ কিলোমিটার। ঢাকা হলো পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ একটা শহর। জনসংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকা বিশ্বে সপ্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এই শহর। ঢাকার প্রতি বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ৩৫ হাজার লোক বসবাস করে। বাংলাদেশের অধিকাংশ উন্নয়ন রাজধানী কেন্দ্রিক হওয়ায় এদেশের লোকজন রাজধানী, ঢাকাগামী। যে কারণে দিন দিন এর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঢাকা কর্মমুখর এবং জনসমাগম সম্পন্ন শহর। এ শহরে কর্মমুখী মানুষের সমাগম ঘটে রোজই। মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসে কাজের উদ্দেশ্যে। বেশিরভাগ কর্মমুখী মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। এখানে কুলি-মজুর থেকে শুরু করে উকিল, ডাক্তার, ব্যারিস্টার সকল শ্রেণীর মানুষ দেখতে পাওয়া যায়। সকল শ্রেণীর মানুষের ব্যস্ততার মুল।
শত ব্যস্ততা, যানজট, দূষণ সবকিছু থাকার পরও ঢাকা মানুষের আবাসনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। যার পিছনে অবশ্য যথেষ্ট কারণও আছে। ঢাকা আবাসনের দিক দিয়ে যথেষ্ট আকর্ষণীয়। এর কারণ, ঢাকায় রয়েছে সকল সরকারি ও বেসরকারি কর্মক্ষেত্র, প্রশাসনিক ভবন, উন্নত সুযোগসুবিধাসম্পন্ন হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্র ইত্যাদি। রয়েছে উন্নত পড়াশোনার জন্য স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়।
নগরায়ন ব্যবস্থা সম্পন্ন পরিকল্পিত আবাসন স্থান হয়ে উঠছে এটি। সকল প্রকার সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন এই ঢাকা শহর আজকের মানুষের থাকার জন্য আকর্ষণের মূলে। ঢাকায় সকল কিছু রয়েছে হাতের নাগালে। বিকালে বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার পার্ক, রাতের খাবার বাহিরে খাওয়ার জন্য নামি-দামি রেস্টুরেন্ট সবই রয়েছে এখানে। তাই তো বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র রাজধানী ঢাকা।
ঢাকায় রয়েছে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা যা সকলের কাছে আকর্ষণীয়। তাই সকলে বসবাসের জন্য ঢাকাকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রশাসনিক কাজ কর্মের জন্য রাজধানী কে প্রাধান্য দেওয়া হলেও বাংলাদেশে এমনটি নয়। বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাজ কর্মের পাশাপাশি, সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ঢাকাতে। উন্নত জীবন যাপনে আগ্রহী সকলে তাই ঢাকাতেই বাসবাস করতে চায়।
আবাসিক এলাকা হতে হলে সেখানে অবশ্যই থাকতে হবে উন্নত ও পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থা বা নগরায়ন। থাকতে হবে প্রয়োজনীয় সকল জিনিস এর চাহিদা মেটানোর মতো সম্পদ। থাকতে হবে হাতের নাগালেই হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং যথেষ্ট নিরাপত্তা। পাশাপাশি আবাসিক এলাকা কখনোই কোলাহলপূর্ণ হওয়া উচিত নয়। আবাসিক এলাকা হওয়া উচিত ছায়াসুনিবিড়, কোলাহলমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এলাকা। যেখানে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি থাকবে মানসিক প্রশান্তি। কোলাহলপূর্ণ এলাকা কখনোই আবাসনের জন্য যোগ্য নয়। আবাসনের জন্য ঢাকায় কতগুলো ভালো আবাসিক এলাকা রয়েছে। যা কিনা পরিকল্পিত। এমন কিছু আবাসিক এলাকা নিম্নরূপঃ-
বসুন্ধরাঃ
ঢাকার জনপ্রিয় আবাসিক এলাকার কথা ভাবলে প্রথমে মাথায় আসে বসুন্ধরা। বসুন্ধরা একটি পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা। এখানে যেমন রয়েছে কোলাহল মুক্ত পরিবেশ। তেমনি রয়েছে অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদন কেন্দ্রের মতো সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা। বসুন্ধরা এলাকাটি অভিজাত এলাকা বলেই অধিক পরিচিত। এখানে নিরাপত্তা প্রায় শত ভাগ নিশ্চিত।
এখানে রয়েছে পরিকল্পিত যানবাহন ব্যবস্থা। এছাড়াও রয়েছে বাগান, পার্ক বা খেলাধুলার মাঠ। যা শিশু-কিশোরদের আকর্ষণের কেন্দ্র। বসুন্ধরা এলাকাটি হোল্ডিং নাম্বার এবং রাস্তা নাম্বার দিয়ে সুন্দরভাবে পরিকল্পিত। যার কারণে কোন বাসা কিংবা কোন বিল্ডিং খুঁজে পেতে তেমন একটা বেগ পোহাতে হয়না সেখানে। চলাচলের জন্য রয়েছে সঠিক নির্দেশনা। ঢাকা শহরের মতো কোলাহলপূর্ণ এলাকায় স্বস্তির ছোঁয়া পাওয়া যায় বসুন্ধরায়।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাটি ঠিক মহাসড়কের সাথে এবং সেখানে রয়েছে শহরের নামিদামী রেস্তোরাঁও। পাশাপাশি এলাকাটি এতটাই পরিকল্পিত যে সেখানে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা কিংবা আপত্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয় না। এ কারণে বসবাসের জন্য সঠিক আবাসন এলাকা হিসেবে বসুন্ধরা নির্বাচন করা যেতে পারে।
ধানমন্ডিঃ
ঢাকায় আবাসন এলাকার শীর্ষে রয়েছে ধানমন্ডি। ধানমন্ডি জনসমাগমপূর্ণ একটি এলাকা। এ এলাকায় যেমন রয়েছে নামিদামি হাসপাতাল, গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক, তেমনি রয়েছে বিনোদনের জন্য রবীন্দ্র সরোবর এর মতো সরোবর। ধানমন্ডিতে প্রতিটি মানুষের সমাগম হয়।
জমে ওঠে কিশোরকিশোরীর বিশাল সমাগম। জনবহুল এলাকার মধ্যে ধানমন্ডি একটি। কিন্তু এখানে রয়েছে সঠিক পার্কিং ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রয়েছে সঠিক ট্রাফিক আইনের ব্যবহার। এলাকাটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং কমপ্লেক্স এর জন্য অনেক বেশি সুপরিচিত। এখানে প্রায় যানজট দেখা যায় কিন্তু লোভনীয় অ্যাপার্টমেন্টের ভবনগুলোর কারনে ধানমন্ডির আবাসিক এলাকা হিসেবে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা পায়।
এর কারণ ধানমন্ডিতে হাতের নাগালেই রয়েছে দোকানপাট, রয়েছে স্বাস্থ্য সেবা, বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় রেস্তোরাঁ, প্রশস্ত এবং পরিকল্পিত রাস্তা। যা ধানমন্ডি কে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে এবং এর সৌন্দর্য্য বহুগুন বাড়িয়ে তুলেছে। এখানে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় যাবতীয় সকল জিনিসের দেখা মেলে। তাই আবাসিক এলাকা হিসেবে ধানমন্ডি গ্রহণযোগ্য।
বেইলি রোডঃ
কোলাহলপূর্ণ এলাকার বাহিরে রমনার নিকটে অফিসার্স ক্লাবের মত প্রশাসনিক ভবনের সাথে অবস্থিত বেইলি রোড। সরকারী আবাসন ব্যবস্থা সম্পন্ন আবাসন এলাকা এ বেইলি রোড। আবাসন এলাকার জন্য বেইলি রোড যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য। সাথে রয়েছে উড়ালসড়ক যানবাহন ব্যবস্থা যা বেইলি রোডকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।
এর সাথে রয়েছে নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং রেষ্টুরেন্ট। পাশাপাশি রয়েছে নামকরা কনভেনশন হল, সাধারণত মানুষেরা বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠান করার জন্য সেই কনভেনশন হল গুলো ভাড়া নিয়ে থাকেন। প্রয়োজনের সব জিনিসই পাচ্ছেন এখানে হাতের মুঠোয়। প্রয়োজনের খাতিরে খুব বেশি একটা দূরে যেতে হচ্ছে না। যার কারণে আপনার সাশ্রয় হচ্ছে যানবাহন খরচ।
এছাড়া এর পাশেই রয়েছে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মত বড় বড় হাসপাতাল। যার কারণে চিকিৎসা সেবাও হাতের নিকটে। আরো আছে মিনা বাজারের মতো সুপারশপ। যা দৈনন্দিন কাঁচাবাজারের কেনাকাটাকেও সহজ করে তুলবে। আবাসিক এলাকা হিসেবে যদি বেইলি রোডের কথা চিন্তা করা যায় তবে তা কোনো অংশেই খারাপ হবেনা। বরং আভিজাত্যও উন্নত বাসস্থান বলেই গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
গুলশানঃ
অভিজাত্য এলাকার মধ্যে আবাসিক এলাকার দিক দিয়ে গুলশান কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। গুলশান এলাকাটি আপনার জন্য একটি ভালো আবাসিক এলাকা হিসেবে নির্বাচিত হতে পারে। গুলশান ঢাকার একটি অন্যতম পরিপূর্ণ অঞ্চল। এ অঞ্চলটি ৫০% আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিকল্পিতভাবে নির্মিত হয়েছে। এই আবাসিক এলাকার কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
গুলশানের পাশেই রয়েছে হাতিরঝিলের মত বিনোদন কেন্দ্র, রয়েছে প্রশস্থ হ্রদ, রয়েছে কোলাহলমুক্ত আবাসিক এলাকা, প্রশস্ত রাস্তা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা রক্ষায় ২৪ ঘন্টা নিয়োজিত থাকে নির্দিষ্ট নিরাপত্তা কর্মী। প্রতিটি আকাশচুম্বী ভবনের জন্য রয়েছে একজন করে নিরাপত্তাকর্মী এছাড়া আইনি ব্যবস্থা তো আছেই। এর পাশেই হাতিরঝিল থাকায় এখানে রয়েছে গাছপালা, রয়েছে বাচ্চাদের জন্য সুন্দর খেলার জায়গা, রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, শপিং মল, সুপার শপ ইত্যাদি।
ঢাকা বাসীদের মধ্যে গুলশান বাসস্থানের জন্য অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পায়, কারণ দৈনন্দিন জিনিসের সহজলভ্যতা এবং কর্মক্ষেত্রের অধিক্যর্তা। গুলশান কে কেন্দ্র করে তার আশেপাশে গড়ে উঠেছে কর্মক্ষেত্র। যেখানে অনেক দূর থেকে মানুষ এসে কাজকর্ম করে। তাই তাদের প্রথম গন্তব্য হয়ে থাকে গুলশান। আবাসিক এলাকা গুলোর মধ্যে পরিবার নিয়ে গুলশান আবাসিক এলাকায় বসবাস করা হতে পারে একটি ভালো সিদ্ধান্ত।
বনানীঃ
গুলশানের পাশেই রয়েছে আরেকটি আবাসিক এলাকা বনানী। বনানী গুলশানের মতই পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা। তবে বনানী এলাকার নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হাতিরঝিল সংলগ্ন ঢাকার বনানী এলাকায় রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী। এলাকাটি সম্পূর্ণ কোলাহলমুক্ত এবং পরিকল্পিত। পাশেই রয়েছে মহাখালী উড়ালসেতু, রয়েছে রেলপথ, রয়েছে প্রচুর মেগা মল এবং নামিদামি প্রতিষ্ঠানএর প্রধান প্রধান কার্যালয়।
রয়েছে কিছু নামকরা রেস্টুরেন্ট। যার কনভেনশন হল গুলোতে প্রতিনিয়তই হয়ে থাকে কোনো বড় বড় প্রাতিষ্ঠানিক মিটিং। যার অধিকাংশই ইন্টারন্যাশনাল। তাই বনানী স্বভাবতই একটু বেশি নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে। বনানীকে আবার গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক মডেল টাউন বলা হয়ে থাকে। অনেক বড় বড় রাজনৈতিক মিটিংগুলো এখানেই হয়ে থাকে। এখানে রয়েছে বড় বড় নামকরা এবং সকল সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন পাঁচতারকা হোটেল। যেখানে নিত্যদিনই সমাগম ঘটে বিশিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিদের।
বনানী আবাসিক এলাকা, ভালো আবাসিক এলাকা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে এখানে আবাসন ব্যবস্থায় একটু বেশি ব্যয় করতে হবে। এ এলাকাটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং আভিজাত্যতা পূর্ণ। বনানীতে কোন সুযোগ-সুবিধার অভাব নেই। কর্মক্ষেত্রের কোন অভাব নেই, তেমনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শপিং কমপ্লেক্স, রেস্টুরেন্ট, ঘুরতে যাওয়ার জায়গারও কোন অভাব নেই। বরং এ এলাকায় অন্য জায়গা থেকে বনানীতে মানুষ ঘুরতে চলে আসে। যার কারণে বনানী হতে পারে থাকার জন্য বা আবাসন ব্যবস্থার জন্য ভালো একটি জায়গা।
বারিধারাঃ
গুলশান বনানীর পরে বারিধারার কথা না বললেই নয়। বারিধারা গুলশান, বানানীর মতোই চাহিদার শীর্ষে। বারিধারায় রয়েছে আবাসন ব্যবস্থার সঠিক পরিকল্পনা সম্পন্ন ফ্লাট,বাসা। এখানেও ফ্ল্যাট বা বাসা একটু বেশি ব্যয়বহুল। এখানে খুব সহজেই ছোট এবং বড় পরিবারের জন্য আকর্ষণীয় বাসা মিলে যাবে।
তবে থাকার জন্য বারিধারা অবশ্যই একটি ভালো জায়গা। কারণ এখানে যেমন রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তেমনি রয়েছে শপিংমল। পাশাপাশি এখানে পাবেন রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্ট স্বভাবতই মানুষের সমাগম ঘটে অনেক বেশি।এখানের আবাসিক ফ্ল্যাটগুলোতে রয়েছে সকল সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা। যার কারণে সমাজের বিশিষ্ট বিশিষ্ট লোকদের চোখ থাকে বারিধারা, গুলশান, বনানীর ফ্ল্যাটগুলোতে।
নিকেতনঃ
গুলশান-বনানী-বারিধারার পরে নিকেতনের কথা না বললেই নয়। নিকেতন হচ্ছে গুলশান এবং বনানীর সেতুবন্ধন। নিকেতন আবাসিক এলাকা হিসেবে বেশী গ্রহণযোগ্যতা পায়। কারণ এর রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিকেতনে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার কারণে মানুষের সমাগম ঘটে তবে তা খুবই স্বল্প। এখানে রয়েছে আগোরা সুপার শপ, রয়েছে প্রশস্ত রাস্তা এবং সঠিক হোল্ডিং নাম্বার সহ বিল্ডিং।
যা কিনা এলাকাটির সুন্দর অনেকাংশে বাড়িয়ে তুলছে। এখানে কোন জনসমাগম দেখতে পাবেন না। নিকেতন এলাকাটির সবথেকে বড় সৌন্দর্য হচ্ছে এর প্রবেশ পথ। এর প্রবেশ পথের গেটটি অনেক সুন্দর করে স্টিল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে যেখানে সুন্দর করে লেখা আছে নিকেতন। যা অনেকাংশেই এর সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় অন্য কোন আবাসিক এলাকা থেকে।
মিরপুরঃ
স্বল্পআয়ের পরিবারগুলোর বাসস্থান হিসেবে মিরপুর এলাকাটি খুবই ভালো। এখানে রয়েছে ছোট এবং বড় পরিবারের জন্য পরিকল্পিত বাসস্থান। যাতায়াতের জন্য এখানে রয়েছে লোকাল বাস এবং মেট্রোরেলের সুব্যবস্থা। মিরপুর এলাকার সম্মুখে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবন।
যার কারণে এলাকাটি খুব বেশি জনসমাগম সম্পন্ন। এছাড়াও রয়েছে শহরের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং নামকরা স্কুল মিরপুর। এছাড়া মিরপুরে আপনি পেয়ে যাবেন বড় বড় নামকরা ফার্নিচারের দোকান, পেয়ে যাবেন বড় বড় সুপারশপ। জানলে অবাক হবেন বিগত বছরগুলোতে বাণিজ্যমেলার হয়েছিল মিরপুর এর সম্মুখভাগ বা আগারগাঁও এ। অনেক বেশী জনসমাগম কিংবা ব্যস্ত পুরনো এলাকা হওয়ায় মিরপুর এলাকার নিজস্ব নিরাপত্তা রয়েছে। প্রত্যেকটি বাসার আশেপাশে পাবেন ছোট সোনামণিদের জন্য প্রিপারেটরি স্কুল।
আবার পাবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠ, জাতীয় চিড়িয়াখানা, যা কিনা বাচ্চাদের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এখানে আপনি যেমন পাবেন স্বল্পআয়ের পরিবারগুলোর জন্য বাসস্থান। তেমনি পাবেন ব্যয়বহুল ফ্ল্যাট। মিরপুর যে কোন আয়ের লোকজনই বসবাস করতে পারবেন। তাই এলাকাটি সকলের জন্যই ভালো হতে পারে।
ঢাকা শহর কে কেন্দ্র করে এখন গড়ে উঠছে মানুষের জীবন। এ শহর আগে এত কোলাহলপূর্ণ ছিলনা। সকল সুযোগ-সুবিধার সমাহার হওয়ায় শহরটি হয়ে গেছে সকল দিক থেকে চাহিদার শীর্ষে। এখানে থাকার জন্য আপনি আপনার চাহিদা-সাধ্য সবগুলো মিলিয়ে একটি বাসস্থান নির্বাচিত করতে পারেন। ঢাকা সকল সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এলাকা। তাই এখানে বসবাসের জন্য নিজের আয়ে একটি ফ্ল্যাট খুঁজে নিতে খুব একটি সমস্যা হবে না। তবে সকল সুযোগ সুবিধা বুঝে ও সর্তকতার সাথে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা উচিত।
January 26, 2022