আজকের যুগে টাকা-পয়সার প্রয়োজন মেটাতে ব্যাংক লোন আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ঘর কেনা হোক বা ব্যবসা শুরু করা, ছেলেমেয়ের পড়াশোনা হোক বা হঠাৎ কোনো জরুরি খরচ – নানা কারণে আমাদের প্রায়ই বাড়তি টাকার দরকার পড়ে। এসব সময়ে ব্যাংক লোন অনেক কাজে আসে।
কিন্তু বাংলাদেশে অনেকেই ব্যাংক থেকে লোন নিতে গিয়ে নানা ঝামেলার মুখোমুখি হন। কাগজপত্র ঠিকমতো যোগাড় করতে না পারা, যোগ্যতার শর্তগুলো ভালো করে না বোঝা, আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা না থাকা – এসব কারণে অনেকের লোন আবেদন বারবার বাতিল হয়ে যায়। অথচ সঠিক জ্ঞান আর প্রস্তুতি থাকলে ব্যাংক লোন পাওয়া মোটেও কঠিন নয়।
এই লেখায় আমরা জানাবো কীভাবে সহজে ব্যাংক লোন পাওয়া যায়। কোন কোন ধরনের লোন রয়েছে, কী কী কাগজপত্র লাগবে, কোন ব্যাংকে আবেদন করলে সুবিধা হবে – এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। চলুন শুরু করা যাক।
Contents
ব্যক্তিগত লোন হলো এমন একটি লোন যা আপনি যেকোনো ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারেন। বিয়ে, চিকিৎসা, ঘর সাজানো, ভ্রমণ বা অন্য যেকোনো ব্যক্তিগত খরচের জন্য এই লোন নিতে পারেন। এটি সাধারণত ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। সুবিধা হলো, এটি বিনা জামিনে পাওয়া যায়, তবে আপনার বেতন স্লিপ বা আয়ের প্রমাণ দেখাতে হয়। ব্যাংকভেদে সুদের হার ১০-১৫% এর মধ্যে থাকে, আর সময়সীমা ১-৫ বছর।
ব্যবসা শুরু করতে বা বাড়াতে চাইলে ব্যবসায়িক লোন নিতে পারেন। এটি ব্যবসার ধরন, আকার এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে নেওয়া যায়। ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য এসএমই লোন সুবিধাজনক। বড় ব্যবসার জন্য কর্পোরেট লোন রয়েছে।
ব্যবসায়িক লোনে সাধারণত জামিন দিতে হয়, তবে সরকারি কিছু প্রকল্পে বিনা জামিনেও লোন পাওয়া যায়। সুদের হার ব্যবসার ধরন ও ঝুঁকি অনুসারে ৯-১৪% পর্যন্ত হতে পারে।
বাড়ি কেনা, নির্মাণ বা মেরামতের জন্য হোম লোন নিতে পারেন। এটি দীর্ঘমেয়াদি লোন, যা সাধারণত ৫-২৫ বছরের জন্য দেওয়া হয়। এতে সুদের হার তুলনামূলক কম (৭-১০%), কিন্তু সাধারণত বাড়িটিকেই জামিন হিসেবে রাখতে হয়। বাড়ির মূল্যের ৭০-৮০% পর্যন্ত লোন পাওয়া যায়।
নিজের বা সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষা লোন নিতে পারেন। এর সুদের হার তুলনামূলক কম (৮-১০%) এবং পড়াশোনা শেষ করার পরে ফেরত দেওয়া শুরু করতে পারেন। বিদেশে পড়ার জন্যও এই লোন নেওয়া যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কোর্সের সম্ভাবনা অনুযায়ী লোনের পরিমাণ নির্ধারিত হয়।
কৃষি কাজ, মাছ চাষ, পশুপালন ইত্যাদির জন্য কৃষি লোন পাওয়া যায়। সরকার এসব লোনে বিশেষ সুবিধা দেয়, যেমন কম সুদের হার (৪-৮%), সহজ শর্ত ইত্যাদি। এসব লোনে অনেক সময় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সুদ মওকুফ বা ভর্তুকিও দেওয়া হয়।
নতুন বা পুরানো গাড়ি কেনার জন্য গাড়ি লোন নিতে পারেন। এতে গাড়িটিই জামিন হিসেবে থাকে। সাধারণত গাড়ির মূল্যের ৭০-৮০% পর্যন্ত লোন পাওয়া যায়। সুদের হার ১০-১৪% আর সময়সীমা ১-৭ বছর।
বয়সের শর্ত
বেশিরভাগ ব্যাংকে লোন নিতে হলে আপনার বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে। আবার লোন শেষ করার সময় আপনার বয়স অবসর বয়সের বেশি (সাধারণত ৬০-৬৫ বছর) হওয়া যাবে না। তবে ব্যবসায়িক লোনের ক্ষেত্রে এই শর্ত একটু শিথিল।
আয়ের পরিমাণ
ব্যাংক দেখে যে আপনি মাসে কত টাকা আয় করেন এবং সেই অনুযায়ী লোন দেয়। সাধারণত লোনের কিস্তি আপনার মাসিক আয়ের ৩০-৪০% এর বেশি হওয়া উচিত নয়। যেমন, আপনার মাসিক আয় ৫০,০০০ টাকা হলে, লোনের মাসিক কিস্তি ১৫,০০০-২০,০০০ টাকার বেশি হওয়া ঠিক হবে না।
চাকরি বা ব্যবসার স্থিতি
অধিকাংশ ব্যাংক চায় যে আপনি কমপক্ষে ২ বছর ধরে একই জায়গায় চাকরি করছেন বা ব্যবসা চালাচ্ছেন। এতে তারা বুঝতে পারে আপনার আয়ের স্থিতিশীলতা। যদি আপনি ঘন ঘন চাকরি বদলান বা ব্যবসা পরিবর্তন করেন, তাহলে লোন পেতে সমস্যা হতে পারে।
ক্রেডিট ইতিহাস
আপনি আগে কোনো লোন বা ক্রেডিট কার্ড নিয়ে থাকলে তার ফেরত প্রদানের রেকর্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করে থাকেন, তাহলে নতুন লোন পাওয়া সহজ হবে। আগে কোনো কিস্তি বাকি থাকলে বা দেরিতে পরিশোধ করে থাকলে লোন পাওয়া কঠিন হবে।
ঋণ-আয় অনুপাত
আপনার বর্তমান সমস্ত ঋণের মাসিক কিস্তি আপনার মাসিক আয়ের কত শতাংশ, সেটাও ব্যাংক হিসাব করে। এই অনুপাত সাধারণত ৫০% এর বেশি হওয়া উচিত নয়।
লোন পেতে সঠিক কাগজপত্র জমা দেওয়া খুবই জরুরি। বিভিন্ন ধরনের লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এখানে দেওয়া হলো:
সবার জন্য প্রয়োজনীয় মূল কাগজপত্র:
চাকরিজীবীদের জন্য:
ব্যবসায়ীদের জন্য:
হোম লোনের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্র:
গাড়ি লোনের জন্য:
ক্রেডিট স্কোর উন্নত করার উপায়
ক্রেডিট স্কোর বা ঋণ গ্রহণের যোগ্যতা বাড়াতে:
আর্থিক রেকর্ড গুছিয়ে রাখুন
লোনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করুন
ব্যাংকে আবেদন করার আগে আপনার লোনের উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে ভেবে রাখুন। ব্যাংক আপনাকে জিজ্ঞেস করবে টাকা দিয়ে আপনি কী করবেন। সঠিক এবং বাস্তবসম্মত উত্তর দিন।
যেমন, “আমি এই টাকা দিয়ে একটি ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করব যেখানে মাসে আনুমানিক ২ লাখ টাকা বিক্রয় হবে।” বা “এই টাকা দিয়ে আমি আমার বাসার একটি অংশ মেরামত করব।”
সঠিক লোন পরিমাণ নির্ধারণ
আপনার প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি টাকা চাইবেন না। আপনার আসল প্রয়োজন এবং ফেরত দেওয়ার সামর্থ্য বিবেচনা করে লোনের পরিমাণ ঠিক করুন। একটি বাজেট তৈরি করে দেখুন কত টাকা আপনার প্রয়োজন এবং মাসে কত টাকা কিস্তি দিতে পারবেন।
পরিশোধের সামর্থ্য বুঝুন
আপনার মাসিক আয় থেকে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে দেখুন কত টাকা অবশিষ্ট থাকে। এই টাকা দিয়ে আপনি কত পরিমাণ কিস্তি দিতে পারবেন তা হিসাব করুন। মনে রাখবেন, জরুরি প্রয়োজনের জন্য কিছু টাকা সরিয়ে রাখা উচিত।
সুদের হার তুলনা করুন
বিভিন্ন ব্যাংকের সুদের হার তুলনা করুন। একই ধরনের লোনে বিভিন্ন ব্যাংকে সুদের হার আলাদা হতে পারে। ০.৫-১% সুদের হারের পার্থক্য দীর্ঘমেয়াদি লোনে অনেক টাকার পার্থক্য তৈরি করতে পারে।
প্রক্রিয়াকরণ সময় বিবেচনা করুন
কোন ব্যাংক কত দ্রুত লোন প্রক্রিয়া করে তাও বিবেচনা করুন। যদি আপনার খুব তাড়াতাড়ি টাকার প্রয়োজন হয়, তাহলে দ্রুত সেবা দেয় এমন ব্যাংকে আবেদন করুন।
ফি ও চার্জ বিবেচনা করুন
ব্যাংকগুলো লোন প্রক্রিয়াকরণ ফি, প্রশাসনিক খরচ, আগাম কিস্তি পরিশোধ জরিমানা ইত্যাদি ধার্য করে। এসব ফি ও চার্জ সম্পর্কে জেনে নিন।
বিশেষ প্রোগ্রাম খুঁজুন
অনেক ব্যাংক নির্দিষ্ট শ্রেণীর লোকদের জন্য বিশেষ লোন সুবিধা দেয়, যেমন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য, তরুণদের জন্য, প্রথমবারের লোন গ্রহীতাদের জন্য ইত্যাদি। আপনি এসব বিশেষ প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য কিনা তা যাচাই করুন।
ডিজিটাল ব্যাংকিং সুবিধা দেখুন
এমন ব্যাংক বেছে নিন যেখানে অনলাইনে আবেদন করা যায়, কিস্তি দেওয়া যায় এবং লোন সংক্রান্ত তথ্য দেখা যায়। এতে আপনার সময় ও শ্রম বাঁচবে।
প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ
আবেদন করার আগে ব্যাংকে ফোন করে বা ওয়েবসাইট দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন। ব্যাংকের একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে লোনের শর্তাবলী, কাগজপত্র ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন।
ফর্ম পূরণ
আবেদন ফর্মে সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন। কোনো ঘর খালি রাখবেন না। যদি কোনো তথ্য আপনার জানা না থাকে বা প্রযোজ্য না হয়, তাহলে “প্রযোজ্য নয়” লিখুন।
কাগজপত্র জমা
সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একসাথে সংগ্রহ করে জমা দিন। কাগজপত্রের একটি চেকলিস্ট তৈরি করে নিশ্চিত করুন যে কোনো কাগজ বাদ পড়েনি। ফটোকপির সাথে মূল কাগজপত্র দেখাতে প্রস্তুত থাকুন।
ফলোআপ করুন
আবেদন জমা দেওয়ার ৩-৫ দিন পর ব্যাংকে ফোন করে জানতে চান আপনার আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে কিনা এবং আরও কোনো তথ্য লাগবে কিনা। নিয়মিত ফলোআপ করলে আপনার আবেদন দ্রুত প্রক্রিয়া করা হবে।
প্রত্যাখ্যান হলে করণীয়
যদি আপনার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়, তাহলে কারণ জানার চেষ্টা করুন। কারণ জেনে সেই সমস্যা সমাধান করে আবার আবেদন করুন বা অন্য ব্যাংকে চেষ্টা করুন।
গ্যারান্টর কখন লাগে
বিনা জামিনে লোন নিতে চাইলে প্রায়ই একজন গ্যারান্টর বা জামিনদার দরকার হয়। এই ব্যক্তি আপনার পক্ষে প্রতিশ্রুতি দেন যে, আপনি যদি লোন পরিশোধ না করেন, তাহলে তিনি তা পরিশোধ করবেন। গ্যারান্টর সাধারণত একজন স্থায়ী চাকরিজীবী বা সম্পত্তির মালিক হন।
গ্রহণযোগ্য জামিনের ধরন
ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের জামিন গ্রহণ করে:
বিকল্প উপায়
যদি আপনার কাছে জামিন দেওয়ার মতো সম্পদ না থাকে:
জামিন মূল্যায়ন
ব্যাংক সাধারণত একজন মূল্যায়নকারী পাঠিয়ে আপনার জামিনের মূল্য নির্ধারণ করে। মূল্যায়ন বাজার দরের চেয়ে কম হতে পারে, তাই জামিনের বাজার মূল্যের ৫০-৭০% লোন পাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
আবেদন জমা দিতে গিয়ে অর্ধেক কাজ করবেন না:
লোনের জন্য আবেদন করতে গেলে সব কাগজপত্র (জাতীয় আইডি, টিন সার্টিফিকেট, মাসিক ইনকামের রেকর্ড, ব্যবসার Papers) একসাথে গুছিয়ে জমা দিন। অনেকেই শুধু ফর্ম ভরাট করেই ভাবে কাজ শেষ, কিন্তু কাগজপত্র না দিলে আবেদন ঠিকঠাক হয় না!
আয়-ব্যয়ের হিসাবে গড়মিল হলে বিপদ:
আবেদনে যে আয় লিখছেন, সেটা ব্যাংক স্টেটমেন্টের সাথে মিলতে হবে। যেমন: আপনি যদি বলেন মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম, কিন্তু ব্যাংকে মাসে ৩০ হাজার জমা থাকে, তাহলে Officers সন্দেহ করবেন। হিসাব স্পষ্ট রাখুন!
একসাথে ৫ জায়গায় লোনের চেষ্টা নয়:
হঠাৎ করে অনেকগুলো ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানে লোনের আবেদন করলে আপনার Credit Score নিচে নামবে। লোকে ভাববে, টাকার খুব কষ্ট! বরং একটায় Focus করে তাদের নিয়মকানুন বুঝে আবেদন করুন।
ছোট লেখা এড়াবেন না:
লোনের চুক্তিতে ছোট ছোট অক্ষরে অনেক শর্ত লেখা থাকে—যেমন আগে টাকা শোধ করলে জরিমানা, দেরিতে জমা দিলে বাড়তি সুদ। এগুলো না পড়লে পরবর্তীতে ঝামেলা হবে। মনে রাখবেন, “ফাইন প্রিন্টেই ফাঁদ থাকে!”
যে পরিমাণ কিস্তি শোধ করতে পারবেন না, সেটা চুক্তিতে দেবেন না:
মাসে আয় ২০ হাজার, আর কিস্তি ১৫ হাজার? এটা কখনই করবেন না। অসুস্থতা, বাড়তি খরচ—এসবের জন্য কিছু টাকা জমা রাখতে হবে। হিসাব কষে যতটা পারবেন, ততটাই কিস্তি ধরা ভালো।
সরকারের সাহায্য পাওয়া লোন স্কিম:
এসএমই ফাউন্ডেশন, “প্রধানমন্ত্রীর যুব উদ্যোগ“—এসব প্রোগ্রামে কম সুদে লোন মেলে। আবেদন করতে চাইলে ব্যবসার Plan সাজিয়ে নাগরিক সনদ জমা দিতে হবে।
মেয়েদের জন্য আলাদা সুবিধা:
জয়িতা ফাউন্ডেশন বা নারী উদ্যোক্তা প্রকল্পে মেয়েরা ৫-১০% সুদে লোন পেতে পারেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জামানতও লাগে না!
তরুণদের জন্য হাতেখড়ি লোন:
বয়স ২১ থেকে ৪০ হলে সরকারি বা বড় ব্যাংকগুলোতে “ক্যারিয়ার লোন” প্যাকেজ পাবেন। ব্যবসা বা চাকরির Skill Development-এর জন্য টাকা দেওয়া হয়।
কৃষক ও গ্রামের লোকদের সহায়তা:
কৃষি লোনে সুদ অনেক কম, কখনো ৪-৫%। গরু চাষ, ফসলের যন্ত্রপাতি কিনতে এই টাকা কাজে লাগে। স্থানীয় কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলেই তথ্য পাবেন।
কোভিডের পরের লোন সুবিধা:
লকডাউনের ক্ষতি কাটাতে সরকার Covid Recovery Loan দিচ্ছে। ব্যবসায়িক লোকসানের প্রমাণ দিলে এই লোনে সুদ মওকুফও থাকে!
অটো পেমেন্ট ঠিক করে রাখুন:
মাসের তারিখ ঠিক করে ব্যাংক থেকে অটো কেটে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন। এতে ভুলে গেলেও লেট ফি লাগবে না।
ব্যাংকের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখুন:
কোনো সমস্যা (কিস্তি দিতে দেরি, আয় কম) হলে আগেভাগেই ব্যাংক Manager-কে জানান। তারা অনেক সময় সময় বাড়িয়ে দেন।
আগে শোধ করার চেষ্টা করলে কী হয়?
কিছু লোনে আগে শোধ করলে বাড়তি ফি নেয়! চুক্তিতে লেখা আছে কিনা দেখে নিন। যদি সুযোগ থাকে, তাড়াতাড়ি শোধ করে ঝামেলা কমান।
টাকার টানাটানি হলে প্যানিক না করে সমাধান খুঁজুন:
কিস্তি দিতে না পারলে দেরি করার আবেদন করুন, বা ব্যাংকের Debt Management Program-এ যোগ দিন। লোন Default করলে Credit Score ভেঙে যাবে!
মুখ্য বিষয়গুলো মনে রাখুন:
লোন নেওয়ার আগে ঘাবড়াবেন না:
প্রস্তুতি নিয়ে, ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিলেই সফল হবেন। আরও সাহায্য চাইলে নিকটস্থ ব্যাংক শাখা বা Financial Advisor-এর সাথে কথা বলুন।
“টাকা লেনদেনে সচেতন থাকুন, সুযোগ কাজে লাগান!”